আম আমাদের সকলের পরিচিত এবং পছন্দের একটি ফল। আমরা আম পছন্দ করে না এমন লোকের সংখ্যা খুবই কম। আমের মধ্যে আছে নানান পুষ্টিগুন যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আজকের আর্টিকেলের মাধ্যেমে আমরা জানবো আমের উপকারিতা এবং কেন আম খাবেন?
কাচা আম বা পাকা আম সবই আমাদের জন্য উপকারী। সর্ব প্রথম জেনে নেই আমের পুষ্টিগুন।
আমে কি কি ধরনের পুষ্টিগুন আছে
পুষ্টিগুনে ভরপুর হলো আম। আমে আছে প্রচুর খনিজ লবণ এবং বিভিন্ন ভিটামিন যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই জরুরী। এছাড়াও ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি৬ , অ্যামাইনো এ্যাসিড, পটাসিয়াম ও কপার। আমে থাকা বিটা ক্যারোটিন, লুশিয়েন জিলাইক এ্যাসিড, আলফা ক্যারোটিন, পলি পিথানল কিউরেচিন কাম্ফারল, ক্যফিক এ্যাসিড ইত্যাদিও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
নতুন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে আমে কোলন ক্যানসার, স্তন ক্যানাসার, লিউকোমিয়া ও প্রোস্টেট ক্যানসার প্রতিরোধের উপাদান আছে।
বিশ্বে নানান প্রাজাতির আম পাওয়া যায়। এর মধ্যে রয়েছে, ফজলি, ল্যাংড়া, খিরসা, হিমসাগর, আম্রপালি, মল্লিকা, সুবর্ণরেখা, গোপালভোগ, কাচামিঠা, আলফানসো, বারোমাসি, সূর্যপূরী, মিশ্রিদানা, নিলাম্বরী, গোপাল খাস, কেন্ট, কালীভোগ, পাহুতান, ত্রিফলা, অরুনা ইত্যাদি। এছাড়াও আরো অনেক প্রজাতির আম পাওয়া যায়। এক এক ধরনের আমে এক এক ধরনের স্বাদ। কিন্তু প্রতিটা আমেই আছেই পুষ্টিতে ভরপুর। এবার চলুন জেনে নেই আমের উপকারিতা বা কেন আপনার আম খাওয়া উচিত প্রতিদিন।
চলুন জেনে নেই আমের উপকারিতা
আমরা কিছু হলেই ডাক্তারের কাছে যাই বা বিভিন্ন ঔষধ খেয়ে থাকি। কিন্তু আপনি কি জানেন শুধু মাত্র আম খাওয়ার মাধ্যমে অনেক রোগ থেকে নিরাময় পাওয়া যায়। আমের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ন উপকারিতা হলোঃ
হৃদরোগ দূরে রাখে
আম আমাদের হৃদরোগ ভাল করতে সাহায্য করে। কেননা আমে আছে প্রচুর পরিমানে বিটা ক্যারোটিন যা হৃদরোগ ভাল করতে সাহায্য করে। এছাড়াও আম খেলে ভুলে যাওয়ার সমস্যা ও আথ্রাইটসের মতো রোগ দূর হয়। তাই আমের মৌসুমে নিয়মিত আম খান।
স্মৃতিশক্তি বাড়ায়
আম আমাদের সৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। অনেকেই আছেন কিছু মনে রাখতে পারেন না। তারা নিয়মিত আম খেলে স্মৃতিশক্তি বেড়ে যাবে। এবং মস্তিষ্কের চাপ কমাতেও সাহায্য করে। তাই শিশুদের নিয়মিত আম খাওয়ার অভ্যাস করানো উচিত।
মিনারেলের ঘাটতি দূর করে
শরীরে মিনারেরের ঘাটতি দেখা দিলে অনেক ধরনের অসুখ দেখা যায়। আমে থাকা পটাশিয়াম মিনারেলের ঘাটতি পূরনে সাহায্য করে। অনেকে সারাদিন অনেক পরিশ্রম করে থাকে। সারাদিনের পরিশ্রমের ঘাটতি পূরন করে আম খান। অতিরিক্ত ঘামালে শরীর থেকে লবন পানি বের হয়ে যায় তা আমের মাধ্যমে পূরন করা সম্ভব।
ঠান্ডার সমস্যা দূর করে
আমে আছে প্রচুর ভিটামি এ এবং ডি যা ঠান্ডা জনিত সমস্যা দূর করে। আপনি যদি ঠান্ডা কিংবা ফ্লু তে ভুগে থাকেন আম খেয়ে দেখবেন উপশন পাবেন। আম আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তবে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা আম না খাওয়াই ভাল।
হজমে সহায়ক
হজম আমাদের কমন একটি সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। আমে থাকা প্রচুর আশ আমাদের হজমে সহায়তা করে। অনেকের আমার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে তারা আম খেতে পারেন দেখবেন আমার সমস্যার সমাধান মিলেছে।
আমের উপকারিতা যে এই কয়টি তা কিন্তু না। এছাড়াও আম খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
- ফুসফুসে ও মুখের ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
- রক্তচাপ ও হৃৎস্পন্দন নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে।
- ওজন কমাতেও আমের ভূমিতা আছে।
- দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
- ত্বক জতেজ ও টান টান হয় এবং চুলের জন্য উপকারী।
- লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে।
- কোলেষ্টেরলের ক্ষতিকর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
- ষ্ট্রেকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
পরিশেষে বলা যায়, আম আমাদের একটি উপকারি বন্ধু। শুধু আমিই না প্রতিটা ফলেই আছে নানা ধরনের পুষ্টিগুন। তবে আমের সিজেনে আমাদের প্রতিটা মানুষের আম খাওয়া উচিত। আম কেন খাবেন? এক কথায় বলতে গেলে সুস্থ থাকতে আম খাবেন। তাই আমাদের সকলের প্রতিদিন আম খাওয়া উচিত।
কলিকাতা হারবাল মেডিকেল সম্পর্কে
কলিকাতা হারবাল মেডিকেল একটি হারবাল চিকিৎসা কেন্দ্র। আমারা নানান সমস্যায় ভুগে থাকি বা আমরা অসুস্থ হলেই ডাক্তারের কাছে দৌড়ে যাই। কিন্তু সঠিক চিকিৎসা বা স্থায়ী সমাধান পাই না। কলিকাতা হারবাল স্থায়ী ভাবে রোগের চিকিৎসা দিয়ে থাকে। কলিকাতা হারবাল ডাক্তার মোঃ মাহবুবুর হক। চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ করুনঃ 01763663333
আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না।
Next time I read a blog, Hopefully it wont fail me as much as this one. After all, Yes, it was my choice to read through, however I truly thought you would probably have something useful to talk about. All I hear is a bunch of complaining about something you can fix if you were not too busy seeking attention.