আমরা অনেকেই আছি থানকুনি পাতা দেখলে চিনি কিন্তু অঞ্চল বেধে এর নাম ভিন্ন ভিন্ন। থানকুনি পাতার আছে অনেক গুনাগুন। আজকে আমরা জানবো থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
থানকুনি পাতা খেলে কি হয়? খেলে কি কি উপকার পাবেন? খাবার সঠিক নিয়ম।
নানান রোগের ঔষধি হিসাবে থানকুনি পাতার ব্যবহার হয়। থানকুনি পাতা খাওয়ার তেমন কোন নিয়ম নেই। আপনি চাইলে রস করে খেতে পারেন, ভর্তার সাথেও খেতে পারেন। আমাদের গ্রাম অঞ্চলে মানুষ মাঝে মাঝে সবজির মত থানকুনি পাতা ব্যবহার করে। চলুন জেনে নেই থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা।
থানকুনি পাতা খেতে হয়তো আপনার একটু খারাপ লাগতে পারে যদি আপনি নতুন নতুন খেয়ে থাকেন। কিন্তু যারা নিয়মিত খায় তারাই এর গুনাগুন এবং ফল উপভোগ করতে পারে।
থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন
ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন থানকুনি পাতা দেখতে কেমন। আপনি চাইলে আজকে থেকেই থানকুনি পাতা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। সর্ব প্রথম আমরা জানবো থানকুনি পাতার উপকারিতা নিয়ে।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে
গ্যাস্ট্রিক নেই এমন লোক কমই আছে। অনেকের নিজের অজান্তেই গ্যাস্ট্রিক আছে কিন্তু সে জানে না। গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সমাধানে আপনি আজকে থেকেই থানকুনি পাতা খাওয়ার শুরু করুন। গ্যাস্ট্রিক হলেই আমরা ডাক্তারের কাছ থেকে নিয়ে আসি গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ কিন্তু প্রাকৃতিক উপায়ে আপনি আপনার গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দূর করতে পারেন কোন টাকা ছাড়াই।
গ্যাস্ট্রিকের ঔষধের বিকল্প হিসাবে সেবন করুন থানকুনি পাতা।
কাশি দূর করতে সাহায্য করে
কাশি একটি কমন সমস্যা সবার জন্য। যাদের কাশি ঘন ঘন হয় বা কাশির সমস্যায় ভুগছেন তারা থানকুনি পাতার রস খেতে পারেন। প্রতিদিন ২ চামচ করে চিনির সাথে মিশিয়ে থানকুনি পাতার রস খেলে কাশি কমে যাবে। ৭দিন নিয়ম করে খেলে কাশি বলে আর কিছু থাকবে না।
কাশি দূর করার এটি একটি ঘরোয়া পদ্ধতি যা গ্রামগঞ্জে অনেকেই ব্যবহার করছে।
জ্বরের সমস্যা দূর করে
ঋতু পরিবর্তন হলে বা অনেক সময় শরীরে জ্বর জ্বর ভাব হয় তখন আপনার এই সমস্যা থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় হতে পারে থানকুনি পাতা। ১ চামচ থানকুনি পাতার রসের সঙ্গে ১ চামচ শিউলি পাতার রস মিশিয়ে খেলে শরীরের জ্বর জ্বর ভাব কমে যাবে।
জ্বরে ঔষধের বিকল্প হিসাবে এটি ব্যবহার করতে পারেন। তবে অসুস্থ হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উত্তম।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় ভুগছেন? নিয়মিত থানকুনি পাতা খাওয়ার চেষ্টা করুন। নিয়মিত খাবার তালিকায় যদি থানকুনি পাতা রাখেন তাহলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা আর থাকবে না। পাইলস এর চিকিৎসা।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে থানকুনি পাতার উপকারিতা অপরিসীম।
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে
বিশেষ করে নারীরা ত্বকের জন্য কি না করে। হাজার হাজার টাকা নষ্ট করে শুধুমাত্র ত্বক ভালো রাখার জন্য। কিন্তু ত্বকের সৌন্দর্যে থানকুনি পাতা হতে পারে আপনার জন্য বেস্ট একটি উপায়।
থানকুনি পাতা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এর সাথে সাথে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে।
হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
অনেকের খাবার হজমে সমস্যা হয় তারা যদি নিয়মিত নিয়ম করে থানকুনি পাতা খাওয়ার অভ্যাস করে তাহলে হজম সমস্যা দূর হয়ে যাবে। এছাড়া কোথাও কেটে গেলে বা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
চুল পড়া রোধ করে
অধিকাংশ লোকের চুল পরে। চুল পড়া বন্ধ করতে কত কিছুই না করে। কিন্তু চুল পড়া বন্ধের ন্যাচারাল ঔষধ আছে আপনার ঘরের পাশেই। চুল পড়া রোধে মাথায় থানকুনি পাতা বেটে মাথায় লাগিয়ে দেখবেন চুল পড়া বন্ধ হয়ে গেছে পাশাপাশি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করবে।
এছাড়াও থানকুনি পাতা খেলে পেটের সমস্যা, ক্ষত রোধ করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, অনিদ্রা দূর করে, ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখে, রক্ত জমে থাকার আশঙ্কা কমায় ইত্যাদি। এক কথায় থানকুনি পাতার উপকারিতা অনেক। তাই নিয়মিত থানকুনি পাতা খাওয়ার অভ্যাস করুন।
আরো পড়ুন – মুলার উপকারিতা ও অপকারিতা
থানকুনি পাতার অপকারিতা
থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা দুটোই আছে। কিন্তু নিয়ম মেনে খেলে থানকুনি পাতার অপকারিতা তেমন নেই বললেই চলে। অল্প পরিমানে থানকুনি পাতা খেলে কোন সমস্যা হয় না। তবে যাদের হেপাটাইটিস বা লিভারের সমস্যা আছে তারা আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিন। যদি সামনে বা কিছুদিন পরে অপারেশন থাকে তাহলে থানকুনি পাতা না খাওয়াই উত্তম।
নিয়ম মেনে খেলে কোন কিছুতেই সমস্যা হয় না। তবে কোন কিছু খাওয়ার পূর্বে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিন।
তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট।